বাংলাদেশি এক যুবককে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনের ভিডিওচিত্রের একটি দৃশ্য। কয়েক দিন আগে এ ঘটনা ঘটে বলে ভারতের এনডিটিভির খবরে জানানো হয়েছে
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একটি দল এক বাংলাদেশি তরুণকে বিবস্ত্র করে নির্মমভাবে পেটাচ্ছে—এমন একটি ভিডিওচিত্র গতকাল বুধবার ফাঁস হয়েছে। এর পরপরই এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বিএসএফের আট সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মুঠোফোনে ধারণ করা ওই ভিডিওচিত্র গতকাল ভারতের এনডিটিভিসহ কয়েকটি টেলিভিশনে প্রচারিত হওয়ার পর এ নিয়ে হইচই শুরু হয়। বিএসএফের কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ভয়াবহ ও অমানবিক হিসেবে বর্ণনা করে দ্রুত তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের কঠোর সাজা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে বিএসএফ বলছে, ঘটনাটি গত ৯ ডিসেম্বর ঘটেছে।
ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বিএসএফের কয়েকজন জওয়ান ওই তরুণকে প্রথমে আটক করে ঘুষ চান এবং পরে তাঁকে বিবস্ত্র করে তাঁর ওপর নির্মম অত্যাচার চালান। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, নির্যাতিত ওই তরুণ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। আনুমানিক বয়স ২২ বছর।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার কাহারপাড়া সীমান্তের একটি ফাঁড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। ওই যুবক বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন। গরু চোরাচালানকারী সন্দেহে বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় বিএসএফের সদস্যরা তাঁর হাত-পা বেঁধে শরীরের গোপন অঙ্গে পেট্রল ঢেলে নির্মমভাবে পেটান। নির্যাতনের পর ওই তরুণকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়।
ভারতের এক বাংলা সংবাদ চ্যানেলকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম। বিএসএফের সাতজন সদস্য ওই তরুণকে পেটান এবং একজন দৃশ্যটি মুঠোফোনে ধারণ করেন। ওই তরুণ বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন।’
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মহাপরিদর্শক রবি পোনোঠ টেলিফোনে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ঘটনাটি যে অত্যন্ত ভয়াবহ আর লজ্জাজনক, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ জেলার চরমৌরুসি সীমান্তচৌকিতে গত ৯ ডিসেম্বর ঘটে। চৌকিতে প্রহরারত আটজন বিএসএফ সদস্য জড়িত ছিলেন। তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশদ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেটা একজন কমান্ড্যান্ট র্যাংকের অফিসার পরিচালনা করবেন। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশকেও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত করা বিএসএফের সদস্যরা হলেন: বিরেন্দর তিওয়ারি, ভিএস ভিক্টোর ধনঞ্জয় কুমার, আনন্দ সিং, অমর জ্যোতি, সঞ্জীব কুমার, সুরেশ চন্দ ও সুনীল কুমার। তাঁরা সবাই কনস্টেবল পদে কর্মরত।
ভিডিওচিত্রটি কীভাবে প্রকাশিত হলো, সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র বলছে, বিএসএফের কোনো সদস্য তাঁর মুঠোফোনে গান ডাউনলোড করার জন্য একটি সাইবার ক্যাফেতে গেলে ওই ক্যাফের মালিক তাঁর মুঠোফোন থেকে ভিডিওচিত্রটি নিয়ে তা প্রকাশ করেছেন। অপর একটি সূত্র বলছে, ওই নির্যাতনের ঘটনা যে মুঠোফোনে ধারণ করা হয়েছিল, বিএসএফেরই এক সদস্য সেটি একটি দোকানে মেরামতের জন্য দিয়েছিলেন। মোবাইল মেরামতের ওই দোকান থেকেই ভিডিওচিত্রটি ফাঁস হয়ে যায় এবং সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে আসে।
বিএসএফের বিরুদ্ধে সীমান্ত অঞ্চলের মানুষদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। এর আগেও এক বাংলাদেশি নাগরিককে গরু পাচারকারী সন্দেহে আটক করে যৌনাঙ্গে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিএসএফের সদস্যদের বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে রীতিমতো চিঠি লিখে সতর্ক করে দিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট।
বিএসএফের বিরুদ্ধে গরু পাচারকারী সন্দেহে গুলি চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের মেরে ফেলারও অনেক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ সময় বিএসএফ বলে থাকে, তারাই পাচারকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল, তাই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে হয়েছে। কিন্তু গতকাল প্রকাশ পাওয়া ভিডিওচিত্রে ওই সন্দেহভাজন পাচারকারী যে কোনোভাবেই বিএসএফকে আক্রমণ করতে আসেননি, সেটা প্রমাণিত। বিবিসি, এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মুঠোফোনে ধারণ করা ওই ভিডিওচিত্র গতকাল ভারতের এনডিটিভিসহ কয়েকটি টেলিভিশনে প্রচারিত হওয়ার পর এ নিয়ে হইচই শুরু হয়। বিএসএফের কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ভয়াবহ ও অমানবিক হিসেবে বর্ণনা করে দ্রুত তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের কঠোর সাজা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে বিএসএফ বলছে, ঘটনাটি গত ৯ ডিসেম্বর ঘটেছে।
ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বিএসএফের কয়েকজন জওয়ান ওই তরুণকে প্রথমে আটক করে ঘুষ চান এবং পরে তাঁকে বিবস্ত্র করে তাঁর ওপর নির্মম অত্যাচার চালান। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, নির্যাতিত ওই তরুণ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। আনুমানিক বয়স ২২ বছর।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার কাহারপাড়া সীমান্তের একটি ফাঁড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। ওই যুবক বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন। গরু চোরাচালানকারী সন্দেহে বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় বিএসএফের সদস্যরা তাঁর হাত-পা বেঁধে শরীরের গোপন অঙ্গে পেট্রল ঢেলে নির্মমভাবে পেটান। নির্যাতনের পর ওই তরুণকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়।
ভারতের এক বাংলা সংবাদ চ্যানেলকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম। বিএসএফের সাতজন সদস্য ওই তরুণকে পেটান এবং একজন দৃশ্যটি মুঠোফোনে ধারণ করেন। ওই তরুণ বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন।’
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মহাপরিদর্শক রবি পোনোঠ টেলিফোনে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ঘটনাটি যে অত্যন্ত ভয়াবহ আর লজ্জাজনক, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ জেলার চরমৌরুসি সীমান্তচৌকিতে গত ৯ ডিসেম্বর ঘটে। চৌকিতে প্রহরারত আটজন বিএসএফ সদস্য জড়িত ছিলেন। তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশদ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেটা একজন কমান্ড্যান্ট র্যাংকের অফিসার পরিচালনা করবেন। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশকেও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত করা বিএসএফের সদস্যরা হলেন: বিরেন্দর তিওয়ারি, ভিএস ভিক্টোর ধনঞ্জয় কুমার, আনন্দ সিং, অমর জ্যোতি, সঞ্জীব কুমার, সুরেশ চন্দ ও সুনীল কুমার। তাঁরা সবাই কনস্টেবল পদে কর্মরত।
ভিডিওচিত্রটি কীভাবে প্রকাশিত হলো, সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র বলছে, বিএসএফের কোনো সদস্য তাঁর মুঠোফোনে গান ডাউনলোড করার জন্য একটি সাইবার ক্যাফেতে গেলে ওই ক্যাফের মালিক তাঁর মুঠোফোন থেকে ভিডিওচিত্রটি নিয়ে তা প্রকাশ করেছেন। অপর একটি সূত্র বলছে, ওই নির্যাতনের ঘটনা যে মুঠোফোনে ধারণ করা হয়েছিল, বিএসএফেরই এক সদস্য সেটি একটি দোকানে মেরামতের জন্য দিয়েছিলেন। মোবাইল মেরামতের ওই দোকান থেকেই ভিডিওচিত্রটি ফাঁস হয়ে যায় এবং সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে আসে।
বিএসএফের বিরুদ্ধে সীমান্ত অঞ্চলের মানুষদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। এর আগেও এক বাংলাদেশি নাগরিককে গরু পাচারকারী সন্দেহে আটক করে যৌনাঙ্গে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিএসএফের সদস্যদের বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে রীতিমতো চিঠি লিখে সতর্ক করে দিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট।
বিএসএফের বিরুদ্ধে গরু পাচারকারী সন্দেহে গুলি চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের মেরে ফেলারও অনেক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ সময় বিএসএফ বলে থাকে, তারাই পাচারকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল, তাই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে হয়েছে। কিন্তু গতকাল প্রকাশ পাওয়া ভিডিওচিত্রে ওই সন্দেহভাজন পাচারকারী যে কোনোভাবেই বিএসএফকে আক্রমণ করতে আসেননি, সেটা প্রমাণিত। বিবিসি, এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments:
Post a Comment