- উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পরামর্শক বিষয়ক প্রকল্প কার্যালয়ের কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ জানিয়েছেন, বিটিআরসি ভবনের পঞ্চম তলায় অফিসের কাজ শুরু হয়েছে।
কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের এই কাজের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিটিআরসি উপ-পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক।
কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) উৎক্ষেপণের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) সঙ্গে এই মাসেই চুক্তি হবে।
বর্তমান সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিতেই কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বলেন জিয়া।
বর্তমানে দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট এবং রেডিওগুলো বিদেশি উপগ্রহের মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রতিটি টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ডলার দিয়ে থাকে। বর্তমানে ১৯টি টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪০ লাখ ডলার ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের নিজস্ব উপগ্রহ চালু করতে পারলে ভাড়া বাবদ অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও হবে বলে মনে করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ব্যয় হবে। উৎক্ষেপণের পর ৫ বছরের মধ্যে এই টাকা উঠে আসবে।”
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসপিআইকে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা দিতে হবে বলে জানান জিয়া আহমেদ।
কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের কাজটি দীর্ঘমেয়াদি জানিয়ে তিনি বলেন, কবে নাগাদ এ কাজ শেষ হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না।
প্রকল্প পরিচালক রাজ্জাক জানান, স্যাটেলাইট স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে মহাকাশ কক্ষপথে বাংলাদেশকে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
পরামর্শক বিষয়ক প্রকল্প কার্যালয়ে বিদেশি পরামর্শক দলের ২৫ জন এবং বাংলাদেশের ছয় জন কাজ করবে বলে জানান তিনি।
রাজ্জাক বলেন, বাজার মূল্যায়ন, বাজারজাতকরণ, বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ, গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ করবে।
শামীম আহমেদ
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএইচএ/এমআই/২১৪০ ঘ.
No comments:
Post a Comment