ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশি যুবক হাবিবুর রহমান ওরফে হাবুর নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় নয়াদিল্লির নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু।
গতকাল মঙ্গলবার পত্রিকাটিতে প্রকাশিত ‘সীমান্তে বর্বরতা’ শীর্ষক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সম্প্রতি এক ভিডিওচিত্রে বাংলাদেশি যুবকের ওপর বিএসএফ সদস্যদের বর্বর আচরণের জন্য বাংলাদেশের কাছে নয়াদিল্লির নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ভিডিওচিত্র বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়, অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ও বাংলাদেশের একজন মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, এ ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করা যাবে না। এ বিষয়টি বাংলাদেশের বিরোধী দলের ক্ষোভ বৃদ্ধিতে উসকানি দিয়েছে এবং শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ‘ভারতপন্থী’ বলে অভিযোগের রসদ জুগিয়েছে।
কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে, তারা একটি অভ্যুত্থান-চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে। ‘ভারতবিরোধী’ কিছু সেনা কর্মকর্তা এই অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করে।
এ দুটি ঘটনার পর বর্তমান পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির এমন কিছু করা উচিত নয়, যা তার প্রতিবেশী দেশটিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে।
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, গত মাসে সীমান্তে বিএসএফের হাতে পৃথক দুটি ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার পর দেশটিতে ভারতবিরোধী মনোভাব চরম আকার ধারণ করে। সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে গুলি ব্যবহার না করার বিষয়ে ২০১১ সালের মার্চে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতার পর প্রাণহানির ঘটনা কমে এসেছে। তবে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া এই ভিডিও এটাই প্রমাণ করে, বিএসএফ অন্যভাবে সহিংস আচরণ করছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ইউটিউবে প্রচারিত প্রায় ১২ মিনিটের ওই ভিডিওচিত্রটি দেখে মনে হয়, বিএসএফের সদস্যরা বাংলাদেশি ওই তরুণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আনন্দ পাচ্ছে। তরুণের হাত ও পা বেঁধে নির্দয়ভাবে পেটানো হচ্ছে। আরও কীভাবে নির্যাতন চালানো যায়, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে বিএসএফের সদস্যরা। ওই তরুণ সন্দেহভাজন গরু চোরাচালানি। যদিও বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, বিএসএফের সদস্যরা ঘুষ দাবি করে না পেয়ে ওই তরুণের ওপর নির্যাতন চালায়।
গতকাল মঙ্গলবার পত্রিকাটিতে প্রকাশিত ‘সীমান্তে বর্বরতা’ শীর্ষক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সম্প্রতি এক ভিডিওচিত্রে বাংলাদেশি যুবকের ওপর বিএসএফ সদস্যদের বর্বর আচরণের জন্য বাংলাদেশের কাছে নয়াদিল্লির নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ভিডিওচিত্র বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়, অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ও বাংলাদেশের একজন মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, এ ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করা যাবে না। এ বিষয়টি বাংলাদেশের বিরোধী দলের ক্ষোভ বৃদ্ধিতে উসকানি দিয়েছে এবং শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ‘ভারতপন্থী’ বলে অভিযোগের রসদ জুগিয়েছে।
কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে, তারা একটি অভ্যুত্থান-চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে। ‘ভারতবিরোধী’ কিছু সেনা কর্মকর্তা এই অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করে।
এ দুটি ঘটনার পর বর্তমান পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির এমন কিছু করা উচিত নয়, যা তার প্রতিবেশী দেশটিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে।
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, গত মাসে সীমান্তে বিএসএফের হাতে পৃথক দুটি ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার পর দেশটিতে ভারতবিরোধী মনোভাব চরম আকার ধারণ করে। সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে গুলি ব্যবহার না করার বিষয়ে ২০১১ সালের মার্চে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতার পর প্রাণহানির ঘটনা কমে এসেছে। তবে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া এই ভিডিও এটাই প্রমাণ করে, বিএসএফ অন্যভাবে সহিংস আচরণ করছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ইউটিউবে প্রচারিত প্রায় ১২ মিনিটের ওই ভিডিওচিত্রটি দেখে মনে হয়, বিএসএফের সদস্যরা বাংলাদেশি ওই তরুণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আনন্দ পাচ্ছে। তরুণের হাত ও পা বেঁধে নির্দয়ভাবে পেটানো হচ্ছে। আরও কীভাবে নির্যাতন চালানো যায়, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে বিএসএফের সদস্যরা। ওই তরুণ সন্দেহভাজন গরু চোরাচালানি। যদিও বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, বিএসএফের সদস্যরা ঘুষ দাবি করে না পেয়ে ওই তরুণের ওপর নির্যাতন চালায়।
No comments:
Post a Comment