বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষ হওয়ার পর পাঁচ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিদেশি ক্রিকেটারদের পুরো অর্থ পরিশোধ করা হয়নি। এ নিয়ে বিদেশি ক্রিকেটারদের হতাশার কথা প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের পত্রিকা টেলিগ্রাফ।
বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোতে খেলে যাওয়া ১৩ জন কাউন্টি খেলোয়াড়ের পাঁচ লাখ পাউন্ড এখনো বকেয়া রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফ্র্যাঞ্চাজিগুলোর কাছে ইংল্যান্ডের ১৩ খেলোয়াড়ের পাঁচ লাখ পাউন্ড বকেয়ার খবরটি পুরোপুরি সত্যি নয়। বিদেশি খেলোয়াড়দের সব পাওনা এখনো সম্পূর্ণ পরিশোধ করা হয়নি ঠিক। তবে সাত দিনের মধ্যে তা পশোধ করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।”
বিপিএলের প্রথম আসরে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার ডলার এবং সর্বনিু ২৫ হাজার ডলার পাওয়ার কথা রয়েছে। কাউকেই পুরো অর্থ পরিশোধ করা না হলেও ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে। প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী আঙ্গুস পোর্টার পত্রিকাটিকে বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল প্লেয়ার্স ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় খেলোয়াড়রা চুক্তি করেছিলেন। এতে বলা হয়েছিল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ২৫ শতাংশ, টুর্নামেন্ট চলাকালে ৫০ শতাংশ আর শেষ হওয়ার পর বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ ক্রিকেটারদের দেওয়া হবে।” “সৌভাগ্যবান দুয়েকজন ৭৫ শতাংশ অর্থ পেলেও অধিকাংশই পেয়েছেন কেবল ২৫ শতাংশ অর্থ। আমি জানি না, পুরো টাকা কেউ পেয়েছেন কি না,” যোগ করেন তিনি। পোর্টার বলেন, কেবল ব্রিটিশ নয়, অন্য দেশের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও টাকা বকেয়া রয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক চাইলে এবং আগামী বছর এই ক্রিকেটারদের মাঠে দেখতে চাইলে এর একটি বিহিত তাদের করতে হবে। “আমি জানি না পর্দার পেছনে কী হচ্ছে, তবে যা হচ্ছে তা দেরির চেয়েও বেশি কিছু”, বলেন পোর্টার। সময় মতো অর্থ পরিশোধ না করায় টুর্নামেন্টের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন পোর্টার। তিনি জানিয়েছেন, বার বার সময় দিয়েও টাকা না দেওয়ায় খেলোয়াড়রাও হতাশ। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে খেলোয়াড়রা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন বলেও আভাস মিলেছে তার কথায়।পোর্টার বলেন, “বিসিবি, ক্রিকেটার এমনকি আইসিসির পক্ষ থেকে যাথাযথ চাপ দেওয়া হলে তার (আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার) আগেই সমস্যার সমাধান হতে পারে।” এ প্রসঙ্গে লিপু বলেন, “আমার জানা মতে, ব্রিটিশ ক্রিকেটারদের কিছু অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। আর যে পরিমাণ পাওনা আছে- তাও সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য দলগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
“এতো দিন ব্যাংকের অনুমতির সমস্যা ছিল তা এখন আর নেই। ব্যাংকের অনুমতি পাওয়া গেছে, এখন আর সমস্যা নেই,” যোগ করেন লিপু।
by
http://bdnews24.com
No comments:
Post a Comment