Sunday, January 22, 2012

অভ্যুত্থান চেষ্টা নস্যাৎ

সরকার উৎখাতের চক্রান্ত রুখে দিল সেনাবাহিনী
* দুই সেনা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার * একজন পলাতক
* প্রবাসীর ইন্ধন

সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা বা অভ্যুত্থানের অপচেষ্টা সম্পর্কিত কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনই শতভাগ সঠিক প্রমাণিত হলো সেনা সদরের বক্তব্যে। সেনা সদর দপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, 'অবসরপ্রাপ্ত এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত কতিপয় ধর্মান্ধ কর্মকর্তা কর্তৃক অন্যদের ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার একটি বিফল প্রয়াস চালানো হয়। এই অপপ্রয়াসটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিহত করা হয়েছে।'

একই সঙ্গে আরো জানানো হয়েছে, এই অপপ্রয়াসের পেছনে ইন্ধন রয়েছে কিছু প্রবাসী বাংলাদেশিরও। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক ইশরাক আহমেদ তাঁদের অন্যতম। ইশরাক সম্ভবত হংকংপ্রবাসী। তাঁর বাবার নাম এম রাকিব। বাংলাদেশে নওগাঁ জেলার সদর থানার বারশাইল ইউনিয়নের বালুভাড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। ওই ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল এহসান ইউসুফ ছাড়াও আরেক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জাকিরকে গত মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবিলম্বে সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে পলাতক মেজর জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছে সেনা সদর।
উল্লেখ্য, গতকাল কালের কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় 'সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা!' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের পর সেনা সদর দপ্তর গতকাল বিকেল ৩টায় ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা এবং আইএসপিআরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পিএস (পার্সোনাল সার্ভিস) পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রাজ্জাক সেনা সদরের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত জাজ অ্যাডভোকেট জেনারেল লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাজ্জাদ সিদ্দিক।সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই এ বিষয়ে একটি সময়োপযোগী এবং সঠিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য কালের কণ্ঠের প্রতিবেদককে উপস্থিত অনেকেই অভিনন্দন জানান।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যা বলা হয়. সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, সম্প্রতি কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের ইন্ধনে অবসরপ্রাপ্ত এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত কিছু ধর্মান্ধ কর্মকর্তা অন্যদের ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করার একটি বিফল প্রয়াস চালান। এই অপপ্রয়াসটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের ঐকান্তিক চেষ্টায় প্রতিহত করা হয়েছে।সেনাবাহিনীর ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একজন লে. কর্নেল পদবির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা [পরে নাম জানানো হয়, তিনি লে. কর্নেল (অব.) এহসান ইউসুফ, যাঁর নাম ও পরিচয় কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল] গত ১৩ ডিসেম্বর একজন কর্মরত মেজর পদবির কর্মকর্তাকে তাঁর ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যোগদানের প্ররোচনা দিলে ওই কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক বিষয়টি তাঁর চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমে অবগত করলে বর্ণিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সেনাবাহিনী আইনের ২(১)(ডি)(র) এবং ৭৩ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াসের অন্য পরিকল্পনাকারী মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক গত ২২ ডিসেম্বর অন্য এক কর্মরত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে তাঁকেও রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড তথা সেনাবাহিনীকে অপব্যবহার করার কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে প্ররোচনা দেন। ওই কর্মকর্তা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে সদ্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী মেজর জিয়ার ছুটি ও বদলি আদেশ বাতিল করে তাঁকে সত্বর ঢাকার লগ এরিয়া সদর দপ্তরে যোগ দিতে বলা হয়। বিষয়টি টেলিফোনে গত ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে জানানো হলেও তিনি পলাতক থাকেন। পলাতক অবস্থায় মেজর জিয়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাবভারসিভ (নাশকতামূলক) কার্যক্রম চালানোর পাঁয়তারা করেন এবং এখনো করছেন। এ ছাড়াও তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া সুনিশ্চিত তথ্যের ভিত্তিতে অন্য একজন মেজর পদবির কর্মকর্তা [পরে জানানো হয়, তাঁর নাম মেজর (অব.) জাকির] একজন চাকরিরত কর্মকর্তাকে সরকারের প্রতি আনুগত্য পরিত্যাগ করার প্ররোচনা দেন। এ অভিযোগে গত ৩১ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট সেনা আইনের ধারায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের আংশিক তথ্যাদি ফাঁস হয়ে যাওয়া ও কিছু ব্যক্তি গ্রেপ্তার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ডিসেম্বর ১০টা ৫২ মিনিটে পলাতক মেজর জিয়া তাঁকে তথাকথিত গ্রেপ্তার ও নির্যাতনসংক্রান্ত কল্পনাপ্রসূত ও অবিশ্বাস্য গল্প বর্ণনা করে একটি উসকানিমূলক ই-মেইল তাঁর পরিচিতদের পাঠান, যা পরবর্তী সময়ে সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুকে জনৈক আবু সাঈদ আপলোড করেন। পরে মেজর জিয়া 'Mid-level Officers of Bangladesh Army are bringing Down changes soon' এবং 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নতুন বছরের উপহার- মধ্যম সারির অফিসাররা অচিরেই বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন' শিরোনামে কাল্পনিক ও অত্যন্ত বিতর্কিত বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে দুটি ই-মেইল ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। গত ৩ জানুয়ারি একটি পত্রিকা 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে দেশে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াসে পলাতক মেজর জিয়ার ওই ইন্টারনেট বার্তাটি প্রকাশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ জানুয়ারি নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মান্ধ 'হিযবুত তাহ্রীর' পলাতক মেজর জিয়ার ইন্টারনেট বার্তাটিকে ভিত্তি করে দেশব্যাপী উসকানিমূলক লিফলেট ছড়ায়। এর এক দিন পর গত ৯ জানুয়ারি দেশের একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলও উপরোক্ত মনগড়া, বিভ্রান্তিকর ও প্রচারণামূলক সংবাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীতে গুমের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করে, যা সেনাবাহিনী তথা সচেতন নাগরিকদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত উসকানিমূলক বিতর্ক সৃষ্টি করে। এই মুহূর্তের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ধন্যবাদ জানাচ্ছে সেই সব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে, যারা বিভ্রান্তিমূলক ও উসকানিমূলক তথ্য পেয়েও দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এ ধরনের খবর পরিবেশন না করে পেশাদারি ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত অবসরপ্রাপ্ত দুজন কর্মকর্তা ও অন্য চাকরিরত কর্মকর্তাদের দেওয়া বিস্তারিত তথ্য অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ঘাড়ে ভর করে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাতের ঘৃণ্য চক্রান্তের সঙ্গে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত কিছু কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট তথ্য ইতিমধ্যেই উদ্ঘাটিত হয়েছে। কিছু বিশৃঙ্খল ও পথভ্রষ্ট সামরিক কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে পলাতক মেজর জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে ওই ঘৃণ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চক্রান্তে সক্রিয়ভাবে লিপ্ত থাকেন। এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং তার কার্যক্রম চলছে।সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৯ ও ১০ জানুয়ারি পলাতক মেজর জিয়া তাঁর কল্পিত দুটি অপারেশন আদেশ/নির্দেশের কপি ই-মেইলের মাধ্যমে চাকরিরত বিভিন্ন অফিসারের কাছে পাঠান। এ ছাড়া ১০ জানুয়ারি মেজর জিয়া বিভিন্ন ফরমেশন ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত/অধ্যয়নরত সমমনা বা তাঁদের দলভুক্ত কয়েকজন অফিসারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তথাকথিত সেনা অভ্যুত্থান-সংক্রান্ত প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বারবার উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। একই রাতে পলাতক মেজর জিয়া বর্তমানে বিদেশে (সম্ভবত হংকং) অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক ইশরাক আহমেদের সঙ্গে কয়েকবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। কথোপকথনে তাঁরা অভ্যুত্থানের অগ্রগতি ও তা সম্পাদনপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় পলাতক মেজর জিয়া তাঁকে বিদেশে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশে সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টি প্রচার করার জন্য বলেন। এ সময় ইশরাক পরিকল্পনা অনুযায়ী সেনা অভ্যুত্থান বাস্তবায়ন শেষ হলে ১০ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ২টার সময় টেলিফোন করতে বলেন, যাতে তিনি কম সময়ের মধ্যে বিমানযোগে বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারেন। ধারণা করা যায়, বিশৃঙ্খলা-পরবর্তী সুবিধা প্রাপ্তির জন্যই ইশরাকের বাংলাদেশে আসার এই পরিকল্পনা ছিল।সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি সম্পর্কে সেনা সদস্যদের মনোভাব সম্পর্কে বলা হয়, গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সরকারের অধীনে থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যখন বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একটি গুণগতমানে সমৃদ্ধ বাহিনী হিসেবে সংগঠিত হওয়ার প্রয়াসে লিপ্ত; তখনই অতীতের গণতন্ত্র ধ্বংসের বিভিন্ন অপশক্তি দেশপ্রেমিক একটি রাষ্ট্রীয় শক্তি সেনাবাহিনীর ওপর সওয়ার হওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তাঁরা নিকট ও দূর অতীতের ন্যায় এবারও ধর্মান্ধের অনুভূতি, অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করেছে। এসব ঘৃণ্য চক্রান্তকারীদের দোসর হয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন পালনে হঠাৎ অতিমাত্রায় কট্টর এবং পারিবারিক বন্ধন, চাকরি ও ব্যবসার ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিরা। অপপ্রচার চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে স্বার্থান্বেষী সংবাদপত্র, নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেই জন্ম নিয়ে যুদ্ধে জয়লাভ করা 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর' কাঁধে ভর করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অতীতে বিভিন্ন অপশক্তি রাজনৈতিক সুবিধা লাভ করেছে কিংবা ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওইসব ঘটনার বদনামের দায়ভার বহন করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাগতভাবে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল সেনা সদস্যদের বক্তব্য এই যে, 'আমরা আর এ ধরনের দায়ভার আমাদের সংগঠনের কাঁধে নিতে চাই না।' দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার্থে প্রতিটি সেনা সদস্য আত্মত্যাগের জন্য সদা প্রস্তুত। তবে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগের ওপর ভর করে কোনো দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করুক- তা কারোরই কাম্য নয়।এ ছাড়া পলাতক মেজর জিয়াকে আইনের নিরাপত্তা ও সঠিক বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার স্বার্থে অনতিবিলম্বে সেনাবাহিনীতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। মেজর জিয়ার বর্তমান অবস্থান ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কোনো তথ্য পেলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।প্রশ্নোত্তর পর্ব : মেজর জিয়া তাঁদের দলভুক্ত কতজন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি সম্পর্কে আলাপ করেছিলেন এবং কী ধরনের পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রাজ্জাক বলেন, 'বিষয়টি তদন্তাধীন। এখনই সংখ্যাটা বলা যাচ্ছে না। তবে নাম্বার ইজ ভেরি লিমিটেড। এরা মধ্যম সারির কর্মকর্তা।' অপর এক প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, ১৪ থেকে ১৬ জন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন।পত্রিকায় কুমিল্লার জিওসি মেজর জেনারেল কামরুজ্জামানের কথা বলা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রাজ্জাক বলেন, 'তাঁকে ঢাকার লগ এরিয়ায় সংযুক্ত করা হয়েছে এবং তিনি ঢাকা সেনানিবাসে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই রয়েছেন।' তাঁকে কি গৃহবন্দি করা হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর আইনে গৃহবন্দি বলে কোনো টার্ম নেই।বিদেশি কোনো শক্তি এই অপচেষ্টার সঙ্গে জড়িত কি না- এ প্রশ্নে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, তদন্ত শেষ না হলে এটা বলা যাচ্ছে না।তদেন্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তরা কী ধরনের শাস্তি পাবেন তা জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, সেনা আইনের ৩১ ধারায় এই অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার গভীরতার ভিত্তিতে শাস্তি নির্ধারিত হবে।এই অপচেষ্টার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না- এ প্রশ্নে মাসুদ পারভেজ বলেন, 'কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সম্পৃক্ততার কথা আমরা বলিনি। বিষয়টি আপনাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ওপর ছেড়ে দিলাম।'


No comments: