Thursday, January 26, 2012

খাদ্যে ভেজাল ঠেকানো যায় না যাদের কারণে


প্রতিদিন যে খাদ্য সন্তানের মুখে তুলে দিচ্ছি, সেই তেল, আটা, ময়দা, ঘি, দুধ থেকে শুরু করে আইসক্রিম, মিষ্টি- সব কিছুতেই ভেজাল। বড় বড় কম্পানি মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা যাতে না হয়, তার বন্দোবস্ত করেছে। ফলে মামলা হয় রাস্তার ফুটপাতের দোকানদারের বিরুদ্ধে।' কথাগুলো কালের কণ্ঠকে বলছিলেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের কিছু স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও পাবলিক অ্যানালিস্টের (ভেজাল পরীক্ষক) একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট চক্র অর্থের বিনিময়ে খাদ্যে ভেজালকারী রাঘব বোয়ালদের বাঁচার পথ করে দিচ্ছে। আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া এ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে থাকায় কাজটি সিন্ডিকেটের জন্য আরো সহজ হয়ে গেছে। বড় বড় অনেক কম্পানি থেকে সিন্ডিকেট সদস্যরা মাসোহারার মওকা নিয়ে দিনের পর দিন জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর খাদ্যদ্রব পরিবেশন করে যাচ্ছে। ফলে তারা পার পেয়ে যায়। আর মামলা হয়, মামলার কোটা পূরণের জন্য ছোট ছোট দোকানদার এমনকি রাস্তার পাশের টং ঘরের মালিকদের বিরুদ্ধে।
আইন, সংসদ ও বিচার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলার জন্য বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত রয়েছে মাত্র একটি। এটি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষায় জন্য হাইকোর্ট বিভাগ সরকারকে প্রত্যেক জেলায় পৃথক বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত প্রতিষ্ঠার নির্দেশ প্রদান করলেও ঢাকা জেলা ছাড়া অন্য কোনো জেলায় এই আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। ঢাকা জেলায় এ আদালত সীমিত লোকবল নিয়ে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের কর্মচারী ও পরীক্ষাগারগুলোর অনিয়মের কারণে দেশের একমাত্র ভেজালবিরোধী আদালতও ব্যর্থ হতে চলেছে।
বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশুদ্ধ খাদ্য আইন ব্যবহার করে ভেজাল খাদ্য শনাক্ত ও মামলা দায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তবে একপর্যায়ে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ কার্যক্রমের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে অসাধু সিন্ডিকেটের নানা কারসাজিতে।
বিভিন্ন সূত্র মতে, এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) স্বাস্থ্য পরিদর্শক ফয়েজ আহমেদ খান ও মোশারফ হোসেন।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য পরির্দশক আবদুস সালাম, আসলাম ভুঁইয়া, মোয়াজ্জেম হোসেন, মীর মাসুম আলী, মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ প্রমানিক, মো. মিজানুর রহমান, আকতার হোসেন ও মাহমুদুল হাসান আনসারী সিন্ডিকেটে আছেন। এর মধ্যে মোহাম্মদ হারুন ও রশিদ প্রমানিক কলকাঠি নেড়ে ১৪ বছর একই স্থানে রয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের নিয়মিত মাসোহারা দিলে সেই দোকান বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো নমুনা সংগ্রহ করা হয় না। স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা উৎপাদনকারীর কোনো পণ্য পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠান না। এমন অনেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক আছেন, যাঁরা গত চার বছরে একজন উৎপাদকের বিরুদ্ধেও ভেজাল খাদ্য উৎপাদনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেননি। মামলা করার কোটা পূরণের জন্য ছোট দোকানিদের কাছ থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করে উৎপাদক সাজিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দেশের নমাকরা একটি ব্র্যান্ডের সরিষার তেলে ভেজাল ধরা পড়ে। কিন্তু মামলাটি ওই নামকরা সরিষার তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হয়নি। সরিষার তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে দেখানো হয়েছে একটি টং ঘরের দোকানদারকে। পরে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম জানতে পারেন, ভুল তথ্য দিয়ে টং ঘরের খুচরা বিক্রেতাকে সরিষার তেলের মালিক বানিয়ে মিথ্য মামলা সাজানো হয়েছে। মিথ্যা মামলা দায়ের করার কারণে স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান আনসারির মামলা করার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন আদালত। এ স্বাস্থ্য পরিদর্শকের দায়ের করা মিথ্যা মামলাটির বর্তমানে তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান আনসারী বলেন, 'আমি কোনো অনিয়ম করিনি।' তাহলে আদালত কেন আপনার মামলা করার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আদালত কেন আমার মামলা দায়েরের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন- তা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলতে পারবেন।'
এ ছাড়া সিন্ডিকেট নেতা ফয়েজ আহমেদ খানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম ঢাকা সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য সিটি করপোরেশন ফয়েজ আহমেদ খানের বিরুদ্ধে এখনো কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফয়েজ আহমেদ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি কোনো সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত নেই। নিয়মিত রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করি।' গত ডিসেম্বর মাসে কয়টি নমুনা ধরেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অসুস্থ থাকায় ছয়টি ধরেছি। বাকি চারটি জানুয়ারি মাসের সঙ্গে যোগ করে ১৪টি ধরব।' সিটি করপোরেশনকে তাহলে আপনার বিরুদ্ধে আদালত কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ আহমেদ খান কোনো উত্তর দেননি।
বিভাগীয় আদেশ অনুযায়ী ডিসিসির সব স্বাস্থ্য পরিদর্শকের প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০টি করে ভেজাল সন্দেহের নমুনা ধরার নির্দেশ থাকলেও তা মানছেন না সিন্ডিকেটের সদস্য পরিদর্শকরা। স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা দু-একটি নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান পরীক্ষার জন্য। সেখানে অর্থের বিনিময়ে খাদ্য পণ্য সঠিক হিসেবে প্রতিবেদন দেয় পাবলিক অ্যানালিস্ট।
আইনের বিধান রয়েছে স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা কোনো নমুনা সংগ্রহ করলে তা অবশ্যই পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সনদ দিতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, মহাখালী জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় পাবলিক অ্যানালিস্টের সনদের জন্য। অনেক সময় পরীক্ষা করতে যে পণ্য পাঠানো হয়, প্রতিবেদন আসে ভিন্ন পণ্যের। সম্প্রতি বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত থেকে একটি বেসরকারি কম্পানির উৎপাদিত তরল দুধ মহাখালী জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয় ভেজাল পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষার ফলাফলে আসে 'আটা বিশুদ্ধ'। প্রতিবেদন দেখে আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, দুধ কিভাবে আটা হয়ে গেল। আদালত সূত্রে জানা যায়, এ প্রতিবেদন পেয়ে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকদের আদালতে ডেকে পাঠান বিচারক। আদালতে কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ওই যাত্রায় রক্ষা পান জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ও পরীক্ষকগণরা।
অভিযোগ রয়েছে, ডিসিসি জনস্বাস্থ্য খাদ্য পরীক্ষাগারেই ভেজাল পণ্যকে ভালো আর ভালো পণ্যকে ভেজাল বানানো হয় এবং এ ক্ষেত্রে পরীক্ষাগারের পাবলিক অ্যানালিস্ট গোলাম সারওয়ারের বিরুদ্ধে রয়েছে জোরালো অভিযোগ। জানা যায়, পয়েন্ট কমিয়ে বা বাড়িয়ে দিয়ে পরীক্ষাগারে পণ্যের গুণগত মানের ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোলাম সারওয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভেজাল ধরা আমার কাজ না।' তাহলে খাদ্য পরীক্ষাগারের পাবলিক অ্যানালিস্ট হিসেবে আপনার কাজ কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি শুধু পরীক্ষা করে দেখি খাদ্য পণ্যে কী আছে।' অভিযোগ রয়েছে, আপনি দুটি সিন্ডিকেট পরিচালনার মাধ্যমে ব্যাপক-ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। আপনার ইশারায় ভেজাল পণ্য ভালো হয়, আবার ভালো পণ্য ভেজাল হয়, আসল বিষয় কী- এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
জানা যায়, খুচরা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মধ্যেই আগে ভেজালবিরোধী অভিযান সীমাবদ্ধ ছিল। বিচার বিভাগ প্রথকীকরণের পর উৎপাদন পর্যায়ে ভেজাল বন্ধের দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে। ব্যবসায়ীরা সরকারের উপর মহলে যোগাযোগ করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমকে অন্যত্র বদলি করার জন্য। এ জন্য কোটি টাকার ঘুষ নিয়েও দৌড়াদৌড়ি হয়। তবে বর্তমান সরকার বিচারককে বদলি না করে ভেজাল শনাক্ত ও মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য উক্ত বিচারককে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতেই রেখে দেয়।
খাদ্যে ভেজাল থাকায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে প্রথম আলোর মালিক লতিফুর রহমানের ট্রান্সকম ফুড লিমিটেডের দুই প্রতিষ্ঠান পিৎজা হাট ও কেএফসি, গ্রামীণ ডানোন ফুডসের শক্তি দই, পোলার আইসক্রিম, মোবেনপিক, মেঘনা গ্রুপের পণ্য, মিল্ক ভিটা, ব্র্যাকের আড়ং দুধ থেকে শুরু করে ঢাকার অনেক অভিজাত ও মাঝারি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের। তাঁরাই বাজার থেকে দৈবচয়ণ পদ্ধতিতে খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারে পাঠান। নমুনায় ভেজাল মিললে স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা খাদ্য উৎপাদনকারী ও বিক্রয়কারীর বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা করেন। পাবলিক অ্যানালিস্ট এবং ঢাকা সিটি করপোরেশেনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের এ দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও বাস্তবে তা কমই মানা হয়।
সূত্রে জানা যায়, কোনো কোনো স্বাস্থ্য পরিদর্শক ভেজাল প্রমাণিত হওয়ার পরও আসামিদের সঙ্গে যোগসাজসে মামলা দায়ের করেন ৬০ দিন পার হওয়ার পর। কারণ, আইনি বাধ্যবাধকতা হচ্ছে- জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগার থেকে ভেজাল মর্মে সনদ দেওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে মামলা দায়ের করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আসামিকে ভেজাল খাদ্য বিক্রির অবৈধ সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মামলাটি দায়ের না করে ৬০ দিনের বেশি সময় ধরে রাখেন ওইসব স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা। ফলে মামলা দায়েরের পর আদালতকে তা খারিজ করে দিতে হয়।
টাকা দিলে মামলা হয় না : খাদ্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহের পর তার ভিত্তিতে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা দায়েরও কমে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক মামলা হবে না- এমন আশ্বাস দিয়ে বড় বড় কম্পানিগুলো থেকে মাসোহারা নিয়ে থাকেন।
খাদ্যে ভেজালের ঘটনায় মামলা করার ক্ষমতা রয়েছে ডিসিসির স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পুলিশ ও বিএসটিআইয়ের পরিদর্শকদের। আদালত সূত্রে জানা যায়, গত চার বছরে পুলিশ বা বিএসটিআই থেকে এ ধরনের কোনো মামলা হয়নি। এখানেও কম্পানিগুলোর কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে তাদের বাঁচিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের শাহবাগ থানার ওসি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা জানি যে, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভেজাল পণ্য ধরা পড়লে পুলিশ মামলা করতে পারে।' কিন্তু তা পুলিশ কারোর সহায়তা না নিয়ে নিজেই পণ্যটি পরীক্ষার জন্য মহাখালী জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠাতে পারে, পরীক্ষায় ভেজাল প্রমাণ হলে মামলা দায়ের করতে পারেন এমনটি কি পুলিশের জানা আছে- এমন প্রশ্নের উত্তর মেলেনি পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে। তবে বিএসটিআইয়ের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের পর বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে গত ২০০৮ থেকে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এক হাজার ৯৬০টি। ভেজাল খাদ্য প্রস্তুত ও বিক্রির অপরাধে আদালত দেড় কোটি টাকার উর্ধ্বে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। অথচ এর আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ২০০৭ সালে মাত্র ৬৮টি মামলায় এক লাখ ৭২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।  by=  
http://kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Jobs&pub_no=772&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=0

No comments: