Tuesday, June 12, 2012

পরিমলের পর এবার অলোক কুমার:ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অডিও রেকর্ড!!!

[[ পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে সম্প্র্রতি নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এক শিক্ষকের নর্তকীর হাত ধরে নাচানাচির রেশ কাটতে না কাটতেই একই বিভাগের আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। অলোক কুমার নামে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষকের ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ার কুপ্রস্তাব ও কুরুচিপূর্ণ বাক্য বিনিময়ের অডিও ফাঁস হওয়ায় এই কলেজে তোলপাড় চলছে।]]
 

অডিও রেকর্ড ক্লিপটি এখন ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-অভিভাবকসহ সব শ্রেণীর মানুষের মোবাইলে। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনসহ পুরো পাবনায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্তে দুজন সিনিয়র অধ্যাপক সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে এই যৌন নিপীড়নের ঘটনার তদন্ত চলছে। জানা গেছে, শিক্ষক অলোক বাবুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার কালিতলা মহল্লায়। তিনি বহুদিন থেকেই এমন দুশ্চরিত্রের অধিকারী। ফলে তার স্ত্রী তার থেকে আলাদা থাকেন।

পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. অলোক কুমারের যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে। এক ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যৌন সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব ও কুরুচিপূর্ণ বাক্যবিনিময় ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

এ ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। ১৮ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের মোবাইল আলাপে শিক্ষক অলোক কুমার নিজেকে যৌন জগতের রাজা বলে দাবি করেছেন। তিনি জীবনে বহু ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কথাও স্বীকার করেছেন।
 
তিনি ওই আলাপচারিতায় এক ছাত্রীর সঙ্গে যেসব বাক্যবিনিময় করেছেন তা সংবাদপত্রে প্রকাশযোগ্য নয়। তবে সংক্ষেপে এটা বলা যায়, তিনি তার দুশ্চরিত্রপনার সাবলীল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সেখানে। অশালীন বাক্যালাপ ছাড়াও মেয়েদের সঙ্গে কিভাবে কি করেন সবই বলেছেন ওই ছাত্রীকে।

অলোক কুমারের ভাষায়,
মেয়েদের দেহ হচ্ছে ভোগের জন্য, রিজার্ভ রাখার জন্য নয়। তাই তিনি যেসব ছাত্রীকে পছন্দ করেন তাদের ভোগের প্রস্তাব দেন। ছাত্রী রাজি না হলে তিনি তাকে ভোগ করেন না। আবার অনেক ছাত্রীকে ভোগ করতে গিয়ে স্বাদ না লাগায় মাঝপথে ফিরে আসেন। তিনি স্বাদ বুঝে কাজ করেন বলে জানান।

মোবাইল আলাপে অলোক কুমার আরও জানান,
জীবনে বহু ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছেন। আগে যে স্টেশনে ছিলেন সেখানেও বহু ছাত্রীর সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক ছিল। তবে তিনি কাউকে ভালবাসেননি। তার ভাষায় ভালবাসাবাসি হলে রিস্ক থাকে। তিনি কোন রিস্ক নেন না।
নিজেকে তেজি পুরুষ দাবি করে অলোকবাবু ফোন আলাপে ছাত্রীকে বলেন,
জীবনে বিয়ে একটাই। তাই যাকে বিয়ে করেছি তাকে নিয়েই থাকতে চাই। তিনি ওই ছাত্রীকে নিজের বাসায় আসার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তুমি আসবে কিনা বলো। বহু ছাত্রীর মধ্য থেকে তোমাকে আমার ভাল লেগেছে।

আলাপের একপর্যায়ে ছাত্রী বাসায় আসতে রাজি না হওয়ায় ঘাবড়ে যান শিক্ষক অলোক কুমার। তিনি তখন ওই ছাত্রীকে বিষয়টি অন্যদের না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।
ছাত্রী প্রশ্ন করেন, স্যার আপনি যা করছেন এটা কি ঠিক?
অলোকের উত্তর: আমি তো তোমাকে জোর করছি না। তুমি আসবে কিনা সেটা তোমার ব্যাপার। তবে না এলে আমি তোমার ওপর খুব রেগে যাবো।
তখন ছাত্রী বলে, আপনি রেগে গেলে আমার কি? ঘাবড়ে যায় অলোক স্যার।
তিনি তখন ওই ছাত্রীকে বলেন, তুমি আমার সঙ্গে বেইমানি করো না। অবশ্য আমার নামে তুমি অন্যদের বললে কেউ বিশ্বাসও করবে না। কলেজে আমার একটা ক্লিন ইমেজ আছে।
সূত্র জানায়,
ড. অলক চাকরি জীবনে যেসব কলেজে শিক্ষকতা করেছেন সব জায়গায় তিনি ছাত্রীদের বাধ্য করেছেন তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে। সদালাপী মিষ্টভাষী তিনি। আর এটাই তিনি সম্পর্ক গড়ায় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। শুধু হিসাববিজ্ঞান বিভাগেই তার পদচারণা সীমাবদ্ধ নেই। কলেজের অন্যান্য বিভাগের একাধিক ছাত্রী তার লালসার শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ক্লিন ইমেজের আড়ালে অলোক বাবুর এই আলাপচারিতা বাজারে ছড়িয়ে পড়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে পাবনা শহরজুড়ে।
খবর নিয়ে জানা গেছে,
শিক্ষক অলোক বাবুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার কালিতলা মহল্লায়। তিনি দুশ্চরিত্র হওয়ায় তার স্ত্রী আলাদা থাকেন। এ সুযোগটাই কাজে লাগান অলোক। পাবনায় বাসা নিয়ে একাই থাকেন। আর প্রাইভেট পড়ানোর নামে হাসিল করেন নিজের লালসা।
শিক্ষক অলোক বাবুর এ বেহায়াপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন পাবনাবাসী। খোদ সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের বহু শিক্ষক লজ্জা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তার অপসারণ দাবি করেছেন।

অভিভাবকরা বলেছেন,
এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। এডওয়ার্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পাবনাবাসী আন্দোলনে নামবে।

বাংলাদেল মহিলা পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি পূরবী মৈত্র ও সম্পাদক এড. কামরুন্নাহার জলি এক বিবৃতিতে অলোক কুমারের শাস্তি দাবি করে বলেছেন,
তার বিরুদ্ধে কলেজ প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে মহিলা পরিষদ আন্দোলনে যাবে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদ বলেন,
ছাত্রীরা একজন শিক্ষকের কাছে আমানত। সেই শিক্ষক যদি কোন ছাত্রীর সঙ্গে এভাবে কথোপকথন করে তবে তা দুঃখজনক। আমরা ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক অলোক কুমার বলেন,
এ ধরনের কোন কথা আমি ফোনে বলিনি । কিছু সন্ত্রাসী আমার কাছে চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা না দেয়ায় তারাই আমার কণ্ঠ নকল করে এ কাজ করেছে। সন্ত্রাসীরা কারা তা জানতে চাইলে অলোক কুমার বলেন, তা আমি জানি না!

 by
http://seudolab.com/bn/

No comments: