Wednesday, April 25, 2012

‘ওমানে ৫ লাখ বাংলাদেশি, হতে পারে রপ্তানি’


‘ওমানে ৫ লাখ বাংলাদেশি, হতে পারে রপ্তানি’

ওমান, এপ্রিল ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশির বসবাসস্থল রাজতন্ত্রের দেশ ওমানে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

মাসকটভিত্তিক গালফ ওভারসিজ এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ইফতেখারুল হাসান চৌধুরী এক সাক্ষাৎকারে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা ওমানের মধ্যে একটা ছোট বাংলাদেশের মতো এবং তাদের লক্ষ্য করে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো এখানে তাদের পণ্য পাঠাতে পারে।” 

গালফ ওভারসিজ এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশিদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ‘ন্যাশনাল ব্যাংক অব বাংলাদেশে’র একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৫ সাল থেকে এটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। 

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী বলেন “গত বছর আমরা প্রতি মাসে গড়ে ৫০ লাখ ডলার করে পাঠিয়েছি। কিন্তু এখন তা ৬০ লাখ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত দুই বছরে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি এ দেশে এসেছে।” 

১৯৯৩ সালে উত্তরা ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করা এই ব্যাংকার বলেন, বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করা জরুরি। 

“তৈরি পোশাক, খাদ্যদ্রব্য, আসবাব ও চীনামাটির তৈরি পণ্যের মতো জিনিসের ভাল বাজার রয়েছে এখানে।” 

বাধা 

ওমানে তার ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘হুন্ডি’ একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে হাসান চৌধুরী বলেন, “ওমানজুড়ে সাতটি শাখা নিয়ে আমাদের ও আরো অনেকেরই এ ধরণের ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু দূরত্ব ও অজ্ঞতার কারণে মানুষ অপ্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করে।” 

ওমান বাংলাদেশের চেয়ে তিন গুণ বড় একটি দেশ- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের কর্মস্থল থেকে অর্থ বিনিময়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থানের দূরত্বের কারণে অনেকেই দেশে অর্থ পাঠানোর জন্য হুন্ডিকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। 

“অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ জানে না যে এটা তাদের জন্য খারাপ।” 

তিনি নাপিত, মালী, বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি ও দর্জিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের বাংলাদেশ থেকে এখানে আসার আগে পূর্বপ্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেন। 

রেমিটেন্স 

গালফ ওভারসিজ এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেড ‘কুইকপে’ কার্যক্রম চালু করেছে, যা ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থের তাৎক্ষণিক ছাড় নিশ্চিত করে। 

এছাড়া দেশে অর্থ পাঠানোর জন্য ওয়েস্টার্ন মানি, এক্সপ্রেসমানি ও অন্যান্য বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গেও তার প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানান হাসান চৌধুরী। 

গালফ ওভারসিজ এক্সচেঞ্জ কোম্পানির মালিকানার ২৫ শতাংশ ন্যাশনাল ব্যাংকের হাতে, বাকি ৭৫ শতাংশ একজন ওমানি নাগরিকের। 

এদেশের আইন অনুযায়ী, এই কোম্পানির শতকরা ৬০ ভাগ বা ২০ জন কর্মকর্তা ওমানি নাগরিক আর ১৪ জন বাংলাদেশি। 

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘দ্য সুলতানাত অব ওমান’ স্বীকৃতি দেয় ১৯৭৪ সালে। ১৯৮৩ সালের মার্চে বাংলাদেশ সরকার ওমানে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স কূটনৈতিক মিশন চালু করে। 

জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনে বাংলাদেশের সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে আরব দেশগুলোর মধ্যে ওমানই প্রথম সমর্থন জানায়। 

No comments: