Monday, November 14, 2011

All Rounder News- Oh Sad(মারমা তরুণী ধর্ষণ, পুলিশকে আহত করে পালিয়েছে এক আসামি)

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক মারমা তরুণীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত থেকে রিমান্ডে নেওয়ার পথে আসামিদের একজন পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই মারমা তরুণীকে চট্টগ্রাম শহরের একটি ভাড়া বাসায় চার দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। খবর পেয়ে ধর্ষিতার বাবা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের শরণাপন্ন হলে পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার এবং দুর্বৃত্তদের আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ গতকাল রবিবার আটককৃতদের জেলহাজতে এবং
ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
অপহরণসহ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে আটককৃতরা হচ্ছে কামাল উদ্দিন জুয়েল (২২), ইকবাল হোসেন (২০), সুমন রবি দাস (১৮) ও মনি আক্তার জেনি (১৮)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নুর উদ্দিন ১ নম্বর আসামি জুয়েলকে আদালত থেকে রিমান্ডে নেন। গতকাল রাত ৮টার দিকে তাকে নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া থানাসংলগ্ন মসজিদ গেট এলাকায় পেঁৗছার পর সে হঠাৎ পুলিশের ওপর চড়াও হয়। কিল-ঘুষি মেরে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আহত করে জুয়েল অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে নেমে পালিয়ে যায়। থানার পুলিশ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে মারমা তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট বাজার থেকে ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণীকে অপহরণ করা হয়। তাঁর বাড়ি রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলায়।
মামলার বিবরণ ও ধর্ষিতার বাবার বক্তব্য থেকে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সৈয়দবাড়ী গ্রামের নুরুল আলম প্রকাশ ফজলা সিকদারের ছেলে কামাল উদ্দিন প্রকাশ জুয়েল পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ওই তরুণীকে চট্টগ্রাম শহরে চাকরির প্রলোভন দেখায়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে মোবাইল ফোনে তাঁকে রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট বাজারে ডেকে আনে। চাকরির সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে ওই তরুণী অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় জুয়েলের সহযোগী একই এলাকার মো. সোলতানের ছেলে ইকবাল হোসেন ও জালিয়াপাড়ার গঙ্গা রবি দাসের ছেলে সুমন রবি দাসসহ কয়েকজন তাঁকে অপহরণ করে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। রাতে অপহরণকারীরা তাঁকে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর এলাকার ৩০০/বি সিডিএ এভিনিউ এলাকার শামসু ম্যানসনে জুয়েলের বোন পরিচয়দানকারী মনি আক্তার প্রকাশ জেনির ভাড়া বাসায় ওঠে। সেখানে একটি কক্ষে তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়। রাতে ওই তরুণীর কক্ষে ঢুকে জুয়েল, ইকবাল ও সুমন তাঁকে ধর্ষণ করে। এভাবে ১২ নভেম্বর বিকেল পর্যন্ত এই তিনজন ছাড়াও তাদের বন্ধু পরিচয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এদিকে ধর্ষিত তরুণী কৌশলে পাশের এক ভাড়াটিয়া মহিলার মাধ্যমে ১২ নভেম্বর সকালে তাঁর বাবাকে টেলিফোনে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জানান। খবর পেয়ে তাঁর বাবা বিষয়টি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সিএমপির পাঁচলাইশ থানার পুলিশকে অপহৃত তরুণীকে উদ্ধার এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নিতে বলেন। পাঁচলাইশ থানার পুলিশ গত শনিবার সন্ধ্যায় শামসু ম্যানসনের বাড়িটি ঘেরাও করে আটক তরুণীকে উদ্ধার করে।
ধর্ষিতার বাবা জানান, এলাকায় ব্যবসা করার সুবাদে কামাল উদ্দিন জুয়েলের সঙ্গে তাঁর ও পরিবারের অন্যদের সুসম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে তাঁর মেয়েকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুয়েল মোবাইল ফোনে কথা বলে রানীরহাট বাজারে নিয়ে যায়। এর পর থেকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে কাউখালী থানায় জিডি করা হয়। চার দিন বাদে অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার ফোন পেয়ে জেলা প্রশাসকের শরণাপন্ন হলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গতকাল রাঙ্গুনিয়া থানায় চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়। রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি আবদুল লতিফ জানান, ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আদালতে আসামিদের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে। তখন এ ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানা যাবে।

1 comment:

Khan said...

hi reeeeeeeeeeeee hai